Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সিটিজেন চার্টার
বিস্তারিত

সিটিজেন চার্টার

১।  বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
২।  জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক/সামাজিক/অর্থনৈতিক শ্রেণী নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি থানায় সকল নাগরিকের সমান আইনগত অধিকার লাভের সুযোগ রয়েছে।
৩।  থানায় আগত সাহায্য প্রার্থীদের আগে আসা ব্যক্তিকে আগে সেবা প্রদান করা হবে।
৪।   থানায় সাহায্য প্রার্থী সকল ব্যক্তিকে থানা পুলিশ যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে এবং সম্মানসূচক সম্বোধন করবে।
৫।   থানায় জিডি করতে আসা ব্যক্তির আবেদনকৃত বিষয়ে ডিউটি অফিসার সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদান করবে এবং আবেদনের ২য় কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবংসংশ্লিষ্ট অফিসারের
স্বাক্ষর ও সীলমোহরসহ তা আবেদনকারীকে প্রদান করতে হবে। বর্ণিত জিডি সংক্রান্ত বিষয়ে যথাশীঘ্র সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা পুনরায় আবেদনকারীকে অবহিত করা হবে।
৬।  থানায় মামলা করতে আসা ব্যক্তির মৌখিক/লিখিত বক্তব্য অফিসার-ইন-চার্জ কর্তৃক এজাহারভুক্ত করবে এবং আগত ব্যক্তিকে মামলার নম্বর, তারিখ ও ধারা এবঙতদন্তকারী অফিসারের নাম ও পদবী অবহিত করবে। তদন্তকারী অফিসার এজাহারকারীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করবে এবং তদন্ত সমাপ্ত হলে তাকে ফলাফল লিখিতভাবে জানিয়েদেবে।
৭।  থানায় মামলা করতে আসা কোন ব্যক্তির মামলাঅফিসার-ইন-চার্জ/থানার ডিউটি অফিসার এন্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তখনউক্ত বিষয়’টির উপর প্রতিকার চেয়ে নিম্নবর্ণিত নিয়মানুযায়ী আবেদন করবেনঃ-

(ক) জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) এর নিকট আবেদন করবেন।
(খ) তিনি যদি উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তা হলে উক্ত ব্যক্তি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করবেন।
(গ) অতঃপর তিনিও যদি উক্ত ব্যক্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তা হলেউক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি’র নিকট আবেদন করবেন।
(ঘ) তারা কেউ উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মহাপুলিশ পরিদর্শকের নিকট উক্ত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করবেন।

৮। আহত ভিকটিমকে থানা হতে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হবে এবং এ বিষয়ে থানা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবে।
৯।শিশু/কিশোর অপরাধী সংক্রান্ত বিষয়ে শিশু আইন, ১৯৭৪ এর বিধান অনুসরণ করাহবে এবং তারা যাতে কোন ভাবেই বয়স্ক অপরাধীর সংস্পর্শে না আসতে পারে তানিশ্চিত করা হবে। এ জন্য দেশের সকল থানায় পর্যায়ক্রমে কিশোর হাজতখানার ব্যবস্থা করা হবে।
১০। মহিলা আসামী/ভিকটিমকে যথাসম্ভব মহিলা পুলিশের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
১১। দেশের কিছু সংখ্যক থানায় ওয়ানষ্টপ ডেলিভারী সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উক্ত ওয়ানষ্টপ ডেলিভারী সার্ভিস সেন্টার দেশের সকল থানায় প্রবর্তন করা হবে।
১২। আহত/মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ভিকটিমকে সার্বিক সহযোগীতার জন্য দেশের সকল থানায় পর্যায়ক্রমে ভিকটিম সাপোর্ট ইউনিট চালু করা হবে।
১৩।পাসপোর্ট/ভেরিফিকেশন/আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয়ে সকল অনুসন্ধানপ্রাপ্তির ০৩(তিন) দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে থানা হতে সংশ্লিষ্টইউনিটে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
১৪। থানা হতে বর্ণিত আইনগত সহযোগীতা না পাওয়া গেলে বা কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে উর্দ্ধতনকর্তৃপক্ষের বরাবর অভিযোগ দাখিল করা যাবে। সে ক্ষেত্রে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ

(ক) লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তীর ১৫(পনের) দিনের মধ্যে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তা অভিযোগকারীকে অবহিত করবেন
(খ) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়া ব্যক্তির বক্তব্য মনযোগ সহকারে শুনবেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তা অভিযোগকারীকে জানাবেন
(গ) টেলিফোনে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

১৫।  জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এএসপি(হেডকোয়ার্টার্স), সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেলিফোন নম্বরথানায় প্রকাশ্যে স্থানে প্রদর্শিত হবে।
১৬।  জেলায় কর্তব্যরত সকল পর্যায়ের অফিসারগণ প্রতি কার্যদিবসে নির্ধারিত সময়ে সকল সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য প্রদান করবে।
১৭।  থানার পুলিশ সদস্যগণ কমিউনিটির সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং কমিউনিটি পুলিশ সার্ভিস চালূ করবেন।
১৮।  উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ নিয়মিত কমিউনিটির সাথে অপরাধদমনমূলক/জনসংযোগমূলক সভা করবেন এবং সামাজিক সমস্যাসমূহের আইনগত সমাধানের প্রয়াস চালাবেন।
১৯।  বিদেশে চাকুরী/উচ্চ শিক্ষার জন্য গমনেচ্ছু প্রার্থীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করবে।
২০।  ব্যাংক হতে কোন প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমান টাকা উত্তোলন করলে উক্ত টাকানিরাপদে নেয়ার জন্য চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ এস্কর্টের ব্যবস্থা করা হবে।
২১।  জেলা শহরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট কি কি সেবা প্রদান করছে তা প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শিত হবে।